উত্তরঃবয়লার আগুন বা ফায়ার দেওয়ার ঠিক পূর্ব মুহুর্তে নিম্নে লিখিত কাজগুলি খুবই সতর্কতার সহিত সম্পন্ন করিতে হইবেঃ
(ক) বয়লার নির্দিষ্ট লেভেলে পর্যন্ত পানি আছে কিনা তা পরীক্ষা করিতে হইবে। গেজ গ্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে এই পানির অবস্থা নিশ্চিত হইতে হইবে এবংগ্যাজ গ্লাসের সকল কক ঠিক মত কাজ করিতেছে কিনা তাহাও পরীক্ষা করিয়া নিশ্চিত হইতে হইবে।
(খ) বয়লারে ভিতরের জমাকৃত বাতাস এয়ার কক দ্বারা বাহির করিয়া দিতে হইবে। বাতাস বাহির হওয়ার পর যখন সামান্য স্টীম বাহির হইতে থাকিবে তখন এয়ার কক বন্ধ করিতে হইবে। বয়লারে আগুন দেওযার পূর্বে ব্লোয়ার চালাইয়া বয়লারের জমাকৃত গ্যাস বাহির করিয়া বয়লারে ফায়ার দিতে হইবে।
(গ) ব্লো ডাউন ভাল্ব ঠিক মত কাজ করে কিনা তাহা পরীক্ষা করিতে হইবে।
(ঘ) সেফটি ভাল্ব ও ফিড চেক ভাল্ব ঠিক মত কাজ করে কিনা তাহাও পরীক্ষা করিতে হইবে।
(ঙ) কোন ভাল্ব বা ককের গোড়া দিয়া বা অন্য কোন জায়গা দিয়া পানি চুয়াইয়া পড়িতেছে কিনা তাহাও পরীক্ষা করিতে হইবে।
(চ) প্রেসার গেজ বা প্রেসার ঘড়ির কাটা শূন্যের কোঠায় আছে কিনা তাহাও দিখিতে হইবে।
(ছ) বয়লার ফিড পাম্প ঠিক মত কাজ করিতেছে কিনা তাহাও পরীক্ষা করিতে হইবে।
(জ) ইতিপূর্বে বয়লারে পানি পূর্ন করা হইয়াছে বা পানি ভরা হইয়াছে এই ধারণার বশবর্তী হইয়া বয়লারের ফায়ার দেওয়া বা চালানো নিষিদ্ধ। কারণ যে কোন উপায়ে বয়লার হইতে পানি বাহির হইয়া যাইতে পারে। তাই, পানি শূন্য বয়লারে আগুন দিলে দুর্ঘটনা ঘটিবে। এমতাবস্থায়, যখনই বয়লারে আগুন দেওয়ার প্রয়োজন হইবে, তখনই বয়লারের পানির অবস্থা নিশ্চিত হইতে হইবে। গেজ গ্লাস পরীক্ষার মাধ্যমে বয়লারের পানির অবস্থা নিশ্চিত হওয়া যায়।
0 comments:
Post a Comment